কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ৬৬নং নয়াশুভাঢ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী। ময়লার ভাগাড় থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে মশা-মাছির উপদ্রবসহ দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বাসিন্দারা। যে কারণে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলের উত্তর ও পূর্ব পাশ ঘেঁষে ময়লা-আবর্জনার বিশাল ভাগাড় রয়েছে। দিন যত যাচ্ছে রাস্তার পাশে ভাগাড় ততই বড় হচ্ছে। কাঁচা বাজারের নষ্ট হওয়া শাকসবজি, হোটেলের পচা-বাসি খাবার, মুরগির নাড়িভুঁড়ি এবং বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ও গরুর ভুঁড়িসহ সব ধরনের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। উৎকট গন্ধের ফলে ওই রাস্তায় পথচারীদের ভোগান্তির পাশাপাশি দুর্গন্ধময় ক্লাস রুমে বসে থাকতে পারছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ৬৬নং নয়াশুভাঢ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফা আক্তার বলেন, ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে ক্লাস রুমে বসে থাকা খুবই কষ্টের। মোট কথা আমরা স্কুলে যতক্ষণ থাকি ততক্ষণ আমাদের দুর্গন্ধের মধ্যে কাটাতে হয়। দুর্গন্ধের ফলে বমি চলে আসে। এরকম অবস্থা অনেক দিন থেকে চলছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা ও স্কুলে ক্লাস করা অনেক কষ্টকর। খাদিজা বেগম নামে এক অভিভাবক বলেন, দুর্গন্ধে টেকা যায় না। তারপরও জোর করে স্কুলে পাঠাই। কয়েকদিন পর মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখন আর সে স্কুলে যায় না। অন্য স্কুলে পড়াব সেই সামর্থ্যও আমার নেই।
৬৬ নং নয়াশুভাঢ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কণিকা রানী রায় বলেন, ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধের ফলে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করতে ও রাস্তায় চলাচল করতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ময়লার দুর্গন্ধের কারণে ভবনের নিচ তলার ক্লাসরুমগুলো ব্যবহার করতে পারছি না। ময়লার কারণে মশার উপদ্রব বাড়ছে। অনেক শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ময়লার ভাগাড়ের কারণে ভুক্তভোগী হচ্ছে, অসুস্থ হয়ে পড়ছে, এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই আমাদের জোর দাবি বিদ্যালয়ের পাশে দ্রুত ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ বলেন, শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য শিগগির আমি ব্যবস্থা নেব। স্কুলের আঙিনার আশপাশে কেউ কোনো ধরনের ময়লা ফেলতে পারবে না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
